রোজাঃ পার্টিতে মোট.......................
রোজাঃ পার্টিতে মোট আমরা ৬ জন থাকবো।
ইরাঃ ৬ জন কেনো। আমরা তো মাএ ৩ জন।
নদীঃ রোজা বলতে চাইছে, আমরা আমাদের
বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে এই পার্টিতে আসবো। আর যে
যার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে আসতে পারবে না। তাকে
আগামী ১ বছর ধরে আমাদের খাওয়াতে হবে৷
ইরাঃ আমি পারবো না তোদের খাওয়াত।
নদীঃ আমি কি তোকে খাওয়াতে বলছি নাকি?
ইরাঃ তাহলে?
নদীঃ আমাদের মধ্যে যেই যার বয় ফ্রেন্ডকে নিয়ে
আসতে পারবে না, এটা তার জন্য।
ইরাঃ তাহলে তো আমার সব শেষ ( মনে মনে)
রোজাঃ ইরা তুই কিছু ভাবছিস।
ইরাঃ নাহ তেমন কিছু না।
রোজাঃ তাহলে আমাদের পার্টি হবে ৫ দিন পর।
রাত ৯ টার দিকে রাজি তো? All In One Downloads
ইরাঃ রাজি না হয়ে কি আর উপায় আছে৷
ওরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে ওখান থেকে উঠে
যায়৷ অন্য দিকে ইরা কি করবে বুঝতে পাচ্ছে না৷
পরের দিন আবার ওই জায়গায় গিয়ে আকাশকে
খুঁজতে থাকে৷ ওখানে গিয়ে ইরা আকাশকে দেখতে
পায়৷ আকাশ তো ইরাকে দেখে এতটাই খুশি যা বলার
বাহিরে। ইরা ধীরে ধীরে আকাশের কাছে
আসতেছে আর আকাশের বুকের ভিতর ধুপ ধুপ শব্দ
হচ্ছে। ইরা আকাশের কাছে এসেই।
ইরাঃ কেমন আছেন?.
আকাশঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো, তুমি?
স্বরি, তুমি করে বলার জন্য। All In One Downloads
ইরাঃ কোন ব্যাপার না। আপনার সাথে কিছুক্ষণ
কথা বলা যাবে কি?
আকাশঃ তার আগে আমার হাতে একটা চিমটি কাঁটুন
তো?
ইরাঃ কেনো?
আকাশঃ আগে কাঁটুন তারপর বলছি।
ইরা চিমকি কাঁটলে আকাশ।
আকাশঃ উহ, এত জোরে কেউ দেয়।
ইরাঃ স্বরি, বুঝতে পারি নি আপনার এতটা লাগবে৷
আকাশঃ ঠিক আছে, তাহলে এভার বলুন হঠাৎ আমার
কাছে, কি মনে করে।
ইরাঃ আসলে আপনাকে একটা কথা বলার জন্য
এসেছি।
আকাশঃ কি কথা?
ইরাঃ কথাটা যে কি করে বলি?
আকাশঃ নিরভয়ে বলতে পারেন।
ইরাঃ আপনি কি আমার বয়ফ্রেন্ড হবেন।
আকাশ কি বলবে কিছুই বুঝতে পাচ্ছে না। আকাশ
যাকে ভালোবেসে ফেলেছে সে মেয়েই আকাশকে
এসে বলছে। আকাশ আন্দের সাথে কথাটা বলতে
যাবে তার আগেই ইরা আবার বলে উঠে।
ইরাঃ শুধু মাএ ১ দিনের জন্য।
আকাশঃ কিহ, ১ দিনের জন্য৷
ইরাঃ হ্যাঁ, আসলে হয়েছেটা কি...
ইরা এরপর আকাশকে সব কিছু সব কিছু বলতে থাকে৷
আকাশ সবটা শুনে রাজি হয়ে যায়৷ কেনো না আকাশ
১ দিনের জন্য হলেও ওর বয়ফ্রেন্ড হবে তার উপর ওকে
রাজি করানোটা ওহ ইজি হবে। তাই আকাশ রাজি
হয়ে যায়৷ ইরা আকাশের নাম্বার থেকে শুরু করে সব
কিছু নিয়ে চলে আসে। ইরা তো অনেক খুশি, অন্য
দিকে আকাশ কি বলবে কিছুই বুঝতে পারছে না। ইরা
বাড়িতে আসে ২ দিন পর ইরা ইন্টারভিউ দেওয়ার
জন্য চৌধুরী কোম্পানিতে আসার আগে।
ইরাঃ ভাবি আমাকে নান্তা দাও, আমার ইন্টারভিউ
সময় পার হয়ে যাচ্ছে, পরে নয় তো লেট হয়ে যাবে৷
ভাবিঃ আরেহ আস্তে, বসে থাক। আর ২ মিনিট।
ইরার ভাবি নাস্তা দিলে ইরা নাস্তা খেয়ে গাড়ি
নিয়ে বেরিয়ে পড়ে৷ অন্য দিকে আকাশ ওহ বেরিয়ে
পড়ে৷ আকাশ ওখানে গিয়ে।
মহানগর ফুল ড্রামা ওয়েব সিরিজ ডাউনলোড । mohanagar web series downloads
আকাশঃ আজকে যে ইন্টারভিউ আছে, আমি রুমে
থাকবো না। আপনারা ইন্টারভিউ নিয়ে, ফাইল গুলো
আমাকে দিবেন।
কর্মচারিঃ ঠিক আছে স্যার, তাই হবে।
আমরা সবটা সামলে নিবো।
আকাশ ওর রুমে বসে থাকে। অন্য দিকে ওখানে
ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য সিনিয়র কিছু লোকজন
আছে, ওনারা আজকের ইন্টারভিউ নিবে। এখানে
ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য মোট ১০ জন মেয়ে আসে৷
ওনারা নিজেদের মতো করে ইন্টারভিউ দিয়ে
বেরিয়ে আসে৷ কিছুক্ষণ পর ওদের বসতে বলা হয়.
কর্মচারিঃ আপনারা ১০ মিনিট বসেন। আমি
স্যারকে ফাইল গুলো দেখাচ্ছি৷ ওনি যাকে সিলেক্ট
করবে, তাকেই চাকরিটা দেওয়া হবে৷ তবে একটা
কথা...
আমাদের কোম্পানিতে কিন্তু ঘুষ নিয়ে কোন কাজ
করা হয় না৷ তাই আপনারা যারা চাকরিটা পাবেন
না৷ তারা হয়তো ভাবতে থাকবেন, কেউ আগে টাকা
দিয়েছে তাই ওকে চাকরিটা দিচ্ছি। কিন্তু দেখুন৷
এই কোম্পানিতে তেমনটা কিছু নেই। এখানে শুধু মাএ
ট্রালেন্ট দেখা হয়. তাই আপনারা একটু অপেক্ষা
করেন, আমি ১০ মিনিটের মধ্যে আবার ফিরে
আসবো। All In One Downloads
কর্মচারি আকাশের কাছে আসে। আকাশের সামনে
ফাইল গুলো রেখে বলে।
কর্মচারিঃ স্যার আজকে মোট ১০ জন এসেছে। এদের
মধ্যে এই ৩ জনই সেইম নাম্বার পেয়েছে। তাই এখন
কাকে রেখে কাকে সিলেক্ট করবো, তাই ভাবতে
পারছি না।
আকাশঃ আচ্ছা ফাইল গুলো এই দিকে দাও।
কর্মচারিঃ এই নিন স্যার।
আকাশ ওই তিনটা ফাইল দেখতে থাকে৷ ফাইল গুলো
দেখে আকাশ চমকে উঠে। কেনো না এখানে ইরা ওহ
ইন্টারভিউ দিতে এসেছে৷ আকাশ ইরার ফাইলটায়
সাইন করে দেয়৷
আকাশঃ এই নিন, একে সিলেক্ট করুন আর বাকিদের
আসতে বলুন। একটা কথা, এনাকে দিয়ে সাইন করিয়ে
নিবেন বন্ড পেপারে।
কর্মচারিঃ বুঝতে পেরেছি। আমি তাহলে ওনাদের
সাথে কথা বলে জানিয়ে দিচ্ছি।
আকাশঃ তাই করুন!
কর্মচারি বাহিরে এসে ওই মেয়েদের সাথে কথা
বলে।
কর্মচারিঃ দেখুন, আপনাদের ১০ জন থেকে আমরা
যে ১ জনকে সিলেক্ট করবো, তা তো আপনারা
জানেন। আর আপনাদের মধ্যে ৩ জন সেইম নাম্বার
পেয়েছেন। তারা হচ্ছে, রিয়া, টিনা, ইরা।
আপনাদের মধ্য থেকে স্যার ইরাকে সিলেক্ট
করেছে৷ তাই ইরা বাদে আপনারা সবাই আসতে
পারেন, ধন্যবাদ৷
বাকি সব মেয়ে চলে যায়৷ অন্য দিকে ইরা তো
আনন্দে চিৎকার করে উঠে৷
কর্মচারিঃ আমার সাথে আসুন, আপনাকে একটা বন্ড
পেপারে সাইন করতে হবে৷
ইরাঃ ওটা কিসের।All In One Downloads
কর্মচারিঃ আপনি যে চাকরিটা করবেন, চাকরি
থাকা কালিন আপনাকে কিছু শর্ত মানতে হবে।
ইরাঃ কি কি শর্ত?
কর্মচারিঃ আমার সাথে আসুন তাহলে বুঝতে
পারবেন।
ইরাঃ হ্যাঁ, চলুন।
কর্মচারি ইরাকে একটা পেপার এগিয়ে দেয়৷ ইরা ওই
পেপার পড়তে থাকে৷ ৩-৫ রুল পড়ার পর...
ইরাঃ আরেহ এই সব তো কোন ব্যাপারই না৷
কথা গুলো বলে ইরা সাইন করে দেয়৷ সাইন করে ইরা
যেই আসতে যাবে।
কর্মচারিঃ মেডাম আপনি তো বাকি শর্ত গুলো পড়ে
দেখেন নি?
ইরাঃ লাগবে না। আমি তাহলে যাই৷ আচ্ছা কবে
আসতে হবে অফিসে।
কর্মচারিঃ ৭ দিন পর আপনাকে আসতে বলবো, তখন
আপনার কার্ড হতে যা যা লাগে, সব কিছু আমি
রেডি করে রাখবো৷
ইরাঃ ঠিক আছে।
কর্মচারি আবার আকাশের হাতে ইরার সাইন করা
কাগজটা দেয়৷
কর্মচারিঃ স্যার, এই নিন।
আকাশঃ হুম, দাও। এভার তাহলে গিয়ে তোমরা
নিজেদের কাজ করো।
কর্মচারিঃ ওকে স্যার।
এই দিকে ইরা আনন্দে অফিস থেকে বের হয়ে ওর
ভাইয়া ওহ ভাবিকে কথা গুলো জানায় আর ওর
বান্ধবীদের ওহ জানায়। ওরা ইরার কাছে ট্রিট চায়৷
ইরা রাতে ট্রিট দিবে বলে রাজি হয়ে যায়।
রাতের বেলায় ইরা, রোজা ওহ নদী রেস্টুরেন্টে
এসে বসে আছে। ওরা রাতের খাবার খেয়ে বেরিয়ে
পড়ে।। ৩ দিন পর...
রোজাঃ ইরা আমরা কালকে তাহলে আমাদের
বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে দেখা করতেছি, ঠিক আছে।
ইরাঃ ওকে, ডান।
রোজার সাথে কথা বলে, ইরা কল দেয় আকাশকে,,,,
ইরাঃ কেমন আছেন?
আকাশঃ হ্যাঁ, ভালো আছি। তা কি মনে করে?
ইরাঃ যাক চিনতে পেরেছেন, এটাই অনেক। তা
কালকে রাতটুকু কি আমাকে সময় দিতে পারবেন।
আকাশঃ ছি ছি, আমি ওই রকম ঘরের ছেলে না।
ইরাঃ আরেহ ভুল বুঝতেছেন। আমি বলতে চেয়েছি,
পার্টির রাতের সময়ের কথা।
আকাশঃ ওহ একটু ভেঙে বললেই হতো আমি তো
ভাবছি...
ইরাঃ থাক, বলতে হবে না। আপনি তাহলে রেডি হয়ে
থাকবেন৷ আমি আপনাকে নিতে আসবো নাকি আপনি
নিজেই চলে আসবেন।
আকাশঃ আমি নিজেই চলে আসবো। তা কোথায়
আসতে হবে। তা তো বললেন না।
ইরা একটা ঠিকানা দেয়৷ আকাশ আরো কিছুক্ষণ কথা
বলে, কাল ওরা কেমন আচরণ করবে, কি কি করবে তা
আগেই আলোচনা করে রাখে। পরের দিন সকালে
আকাশ কাজ কর্ম শেষ করে বিকালে বাড়িতে আসে
ওর কাজ শেষ করে। সন্ধের পর রোজা, নদী ওরা
দুজনের বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে চলে আসে। ওরা
রেস্টুরেন্টে এসে দেখে অনেক সুন্দর করে সাঁজানো
হয়ে। তাই ওরা ওখানে বসে বসে গল্প করতে থাকে৷
কিছুক্ষণ পর ওখানে ইরা ওহ আসে। ইরা ওখানে
আসতেই রোজার বয়ফ্রেন্ড ইরাকে চিনে ফেলে আর
ইরা ওহ।
ইরাঃ আরেহ স্যার আপনি এখানে কেনো?
রাজিবঃ আমার ওহ তো একই প্রশ্ন।
রোজাঃ রাজিব তোমরা কি একজন আরেকজনকে
চিনো আগের থেকে।
রাজিবঃ আরেহ না। ৩ দিন আগে ওনি আমি যে
কোম্পানিতে চাকরি করি ওখানে ইন্টারভিউ দিতে
এসেছে।
রোজাঃ কি বলো তাহলে তো ভালোই হলো।
তোমরা দুজনেই একই কোম্পানিতে চাকরি করার
সুযোগ পেলে।
নদীঃ হুম, তা তো বুঝলাম। কিন্তু ইরা তোর বয়ফ্রেন্ড
এখনো আসছে না কেনো?
রাজিবঃ কিহ আপনার বয়ফ্রেন্ড ওহ আছে।
ইরাঃ কেনো আমার কি বয় ফ্রেন্ড থাকতে পারে
না।
রাজিবঃ পারে।
ইরাঃ তাহলে...
রাজিবঃ আসলে স্যার যদি জানতে পারে, তাহলে
তো ( মনে মনে)
এই দিকে আকাশ রেস্টুরেন্টের সামনে এসে
দেখে..........
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০১ I All In One Downloads
লেখকঃ farvez_hosen_akash
Post a Comment