অফিসে গিয়ে দেখে.................
অফিসে গিয়ে দেখে আকাশ ওহ অদ্রি ওরা দুজনেই
একসাথে আসতেছে হাত ধরে। তার সাথে হাঁসা
হাঁসি ওহ করে আসতে থাকে৷ অদ্রি ইরার সামনে
এসে৷
অদ্রিঃ কি ব্যাপার, তোমার স্যার তোমার সামনে
আর তুমি সালাম কেনো দিচ্ছো না।
ইরাঃ স্বরি, মেম। আস.....
আকাশঃ লাগবে না ইরা৷ ইরা তুমি একটু বাহিরে
যাও, অদ্রির সাথে আমার কিছু কথা আছে।
ইরাঃ ওকে স্যার।
ইরা বাহিরে যাওয়ার পর আকাশ ওহ অদ্রি এক সাথে
কথা বলতে থাকে৷ অন্য দিকে আকাশ অদ্রিকে বলে।
আকাশঃ তা অদ্রি তুই এখানে কয় দিন থাকবি?
অদ্রিঃ কেনো রেহ আমি এখানে থাকলে তোর কি
বেশি অসুবিধা হয়ে যাবে?
আকাশঃ আসলে আমি এর জনঢ বলি নি। তুই তো
আসলে ৪-৫ দিন থাকিছ৷ তাই বললাম এভার কয় দিন
থাকবি৷
অদ্রিঃ এভার আমি ১০ দিনের মতো আছি৷
আকাশঃ যাক তাহলে তো কাজে দিবে।
অদ্রিঃ ঠিক বুঝলাম না।
আকাশঃ কিছু না। এখন তাহলে বাহিরে যাবি ঘুরতে।
অদ্রিঃ যাও যায়৷
আকাশঃ তাহলে ইরাকে ওহ সাথে নিয়ে নেই।
অদ্রিঃ আমার আর তোর মাঝখানে ইরা কেনো
আসবে৷
আকাশঃ ওহ তুই বুঝবি না।
অদ্রিঃ ঠিক আছে তোর যা ভালো হয়।
এভাবে অদ্রি ওহ আকাশ কথা বলতে থাকে৷ অন্য
দিকে ইরা রাগে ফুঁড়ে যাচ্ছে। ইরার রাগ দেখে
রাজিব আসে।
রাজিবঃ কি হয়েছে, এতো রাগ কিসের। স্যার কি
কিছু বলেছে?
ইরাঃ কিছু বলে নি৷ ওনি আর একটা মেয়ে রুমে
ডুকেছে আর আমাকে বের করে দিয়েছে।
রাজিবঃ এই জন্য আপনার রাগ হচ্ছে।
ইরাঃ নাহ।
রাজিবঃ তাহলে কেনো হচ্ছে?
ইরাঃ এই যে একা একা একটা মেয়ের সাথে রুমের
ভিতর। ইশ বলতেও লজ্জা লাগছে।
রাজিবঃ এতে আপনার সমস্যাটা কোথায়৷
ইরাঃ মানে কি এতে তো আমারই সমস্যা।
রাজিব ঃ এটা তো ওনার অফিস তাই ওনি যা ইচ্ছে
করতে পারে এত৷ আমাদের কি করার।
ইরাঃ তাই বলে একটা মেয়েকে নিয়ে রুমের
ভিতরে।
রাজিবঃ চিন্তার কিছু নেই৷ কিছুক্ষণ পর দেখবে
এমনিতে বের হয়ে আসবে।
ইরাঃ আসলে তো ভালোই, নয় তো আমাকেই কিছু
একটা করতে হবে।
রাজিবঃ কি করবে?
ইরাঃ দেখো না কি করি।
ইরা ওখান থেকে গিয়ে দরজার কলিং বের দিয়েই
যাচ্ছে৷ আকাশ রিমোট দিয়ে দরজা খুলে দেয়৷
ইরাঃ কি ব্যাপার এতক্ষণ ধরে কি করছিলেন যে
দরজা খুলতে এতো সময় লাগে।
আকাশঃ মানে কি হ্যাঁ,
ইরাঃ মানে হলো কি করছিলেন, তা বলেন?
অদ্রিঃ ওই মেয়ে তোমাকে কেনো বলতে যাবো৷
ইরাঃ আমার কাজ করতে হবে। সরুন সামনে থেকে।
কথাটা বলে ইরা রুমে ডুকে ওর কেবিনে গিয়ে বসে
পড়ে। তার সাথে কত গুলো যে গালাগালি করেছে,
তা বলার বাহিরে
গালাগালি করার মধ্যে।
You sent
আকাশঃ এই যে গালাগালি দেওয়া হয়ে থাকলে
এভার উঠুন, বের হবো!
ইরাঃ কি ব্যাপার আমার গালাগালি করাটা ওনি
কি করে শুনলো। ( মনে মনে)
আকাশঃ আমি কি করে শুনেছি তাই তো?
ইরাঃ একি ওনি আমার মনের কথা কি করে বুঝলো?
আকাশঃ এতো জোরে বললে যে কেউ শুনতে পারবে।
এখন যেতে হবে।
ইরাঃ ওকে স্যার, চলেন।
তা ওনি ওহ কি আমাদের সাথে যাবে।
আকাশঃ হ্যাঁ৷ যাবে, কোন সমস্যা তোমার?
ইরাঃ আমার কোন সমস্যা নেই৷ চলেন স্যার।
ওরা তিন জনে মিলে একটা শপিংমলে আসে৷
ওখানে ওরা নিজের পছন্দ মতো কেনা কাঁটা করতে
থাকে৷ ইরা শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। তাই
আকাশ একটা শাড়ি হাতে নিয়ে লুকিয়ে রাখে।
আকাশঃ অদ্রি তুই শাড়ি দেখ আমি একটু ওয়াশরুম
থেকে আসতেছি।
অদ্রিঃ আচ্ছা যা।
আকাশ শাড়ি নিয়ে এসে ইরার কাছে আসে আর
ইরাকে নিয়ে ট্রায়াল রুমে চলে আসে।
ইরাঃ স্যার একি করছেন। স্যার!
আকাশঃ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকো আর এই নাও শাড়ি।
ইরাঃ শাড়ি দিয়ে আমি কি করবো।
আকাশঃ এই শাড়িটা এখন পরে বের হবে৷ তাই
তাড়াতাড়ি করো।
ইরাঃ ঠিক আছে কিন্তু আমি তো শাড়ি পরতে পারি
না।
আকাশঃ আমি পরিয়ে দিবো।
ওই দিনের মতো আজকে ওহ আকাশ ইরাকে শাড়ি
পরিয়ে দেয়৷ আজকেও ইরা আকাশকে শক্ত ধরে
জগিয়ে ধরে রাখে। আকাশ শাড়ি পরানো শেষ হয়।
ইরা নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে আকাশকে কিস
করে। ইরা যে এমন কিছু করবে আকাশ তা কখনোই
ভাবতে ওহ পারে নি।
ইরার এমন কাজে আকাশ তো শুধু তাকিয়েই আছে।
ইরাঃ স্বরি, এমনটা হয়ে যাবে বুঝতে পারি নি৷
আসলে কেউ আমার.....
আকাশঃ বুঝতে পেরেছি। শাড়িটা তোমাকে অনেক
মানিয়েছে। তাই এই শাড়িটা তোমার জন্য৷
এখন চেন্জ করে বাহির হও, আমি অপেক্ষা করতেছি।
ইরা চেন্জ করতে থাকে৷ অন্য দিকে আকাশ বাহির
হয়ে অদ্রির কাছে আসে৷
অদ্রিঃ এতক্ষণ লাগে আসতে?
আকাশঃ আসলে ভিতরে ফুটবল খেলছিলাম তাই লেট
হচ্ছে।
অদ্রিঃ তা তোমার সে (পি.,এ) কোথায়।
আকাশঃ জানি না কোথায় গিয়েছে৷
অদ্রিঃ সামান্য একজন ( পি.এ) কে নিয়ে এতো.....
আকাশঃ এতো কি?
অদ্রিঃ নাহ কিছু না।
ওরা নিজেদের মধ্যে কথা বার্তা বলতে থাকে৷ এর
মধ্যে ইরা চলে আসে৷ ইরা এসে শাড়িটা ফ্রেক করে
দেওয়ার জন্য বলে।
অদ্রিঃ বুঝলাম না। শপিং করতে এসেছি আমি আর
এখানে দেখি ওহ নিজেই শপিং করতেছে।
ইরাঃ আমাকে তো....
আকাশঃ থাক, আচ্ছা চল তাহলে এখন বাড়িতে যাই৷
অদ্রিঃ হুম চল।
আকাশ ওদের শপিং করিয়ে দিয়ে গাড়িতে বসে।
ইরাকে ওর বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে। আকাশ
আর তেমন কিছু না বলে চলে আসে। এই দিকে ইরা
কোন কথা না বলে বাসায় আসে। বাসায় ইরার ওর
রুমে যায়। কিছুক্ষণ পর ভাবি আসে রুমে।
ভাবিঃ কি ব্যাপার এতো খুশি খুশি লাগছে কেনো?
ইরাঃ আরেহ তেমন কিছু না ভাবি এমনি!
ভাবিঃ আমি তো বুঝতে পাচ্ছি কেনো এতো খুশি।
ইরাঃ কেনো বলো তো?
ভাবিঃ তা শাড়িটা কিন্তু অনেক সুন্দর।
ইরাঃ দাঁড়াও ভাবি তুমি করে বুঝলে ভিতরে শাড়ি
আছে।
ভাবিঃ না বুঝার কি আছে।
ইরাঃ আমার মাথায় কিছু ডুকছে না।
ভাবি ঃ তোকে আর বুঝতে হবে না। এখন যা ফ্রেশ
হয়ে আয় আর হ্যাঁ, রাতে কিন্তু শাড়িটা পড়িয়ে
দিবো৷
ইরাঃ কেনো ভাবি?
ভাবিঃ পরানোর দরকার আছে। এখন যা বলছি তাই
কর।
ইরা ফ্রেশ হতে চলে যায়৷ অন্য দিকে আকাশ এসে
ফ্রেশ হয়ে নেয়৷ সন্ধের পর আকাশ আকাশ রুম থেকে
বের হয়ে চলে আসে ইরাদের বাড়ির সামনে। ওখানে
ইরাকে নিচে আসতে বলে। ইরা তো ভেবে পাচ্ছে
না কেনো আসতে বলেছে, তাই নিচে নামে শাড়িটা
পরে। শাড়ি পরে ইরা আসছে আর আকাশ শুধু
তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে৷ ইরা কাছে আসতেই
আকাশ না চাইতেও, আকাশ জড়িয়ে ধরে। এমন
আচরণে ইরা অনেক অবাক হয়৷
ইরাঃ স্যার, কি করছেন?
আকাশঃ ইচ্ছে করে তো ধরি নি৷ আমি....
ইরাঃ বুঝতে পাচ্ছি।
আকাশঃ গাড়িতে উঠো তাড়াতাড়ি?
ইরাঃ কেনো উঠবো?
আকাশঃ উঠতে বলছি উঠো?
ইরাঃ স্যার, রাত ১১ঃ৩০ বাজে৷
আকাশঃ তাতে কি হয়েছে।
ইরাঃ বাসার কেউ জানতে পারলে তো সমস্যা হয়ে
যাবে৷
আকাশঃ কিছু হবে না। তাই গাড়িতে উঠো
তাড়াতাড়ি।
ইরা গাড়িতে উঠতেই আকাশ গাড়ি চালাতে থাকে৷
ইরা অনেক বার জিজ্ঞেস করে কোথায় যাচ্ছি
কিন্তু আকাশ কোন কথাই বলে নি। ২০ মিনিট পর
আকাশ ইরাকে নিয়ে একটা নদির পাড়ে আসে।
ওখানে গাড়ি থেকে নামার আগেই ইরার চোঁখ বেঁধে
দেয়।
ইরাঃ আরেহ স্যার, কি বলছেন?
আকাশঃ চুপচাপ আমার সাথে সাথে হেঁটে আসো।
ইরাঃ স্যার, আমার খুব ভয় করছে!
আকাশঃ কিছু হবে না আসো আমার সাথে।
ইরা আকাশের সাথে হাঁটতে থাকে৷ ১ মিনিট পর ইরা
হাঁটতে গিয়ে পড়ে যেতে থাকলে আকাশ গিয়ে ধরে
ফেলে।
আকাশঃ একটু সাবধানে তো হাঁটবে।
ইরাঃ চোঁখের বেঁধে রেখেছেন, দেখে হাঁটবো কি
করে।
আকাশঃ তাহলে এখন একটাই উপায় আছে।
ইরাঃ কি উপায়।
আকাশঃ কোলে নিতে হবে তোমাকে!
ইরাঃ কি বলছেন কি স্যার। আপনি তো বলেছেন,
আপনার বউকেই আপনি, কোলে নিবেন।
আকাশঃ তাতে কি হয়েছে।
ইরাঃ তাই বলে এখন আমাকে নিবেন।
আকাশঃ হুম।
ইরাকে কোলে নিয়ে হাঁটছে। ইরা ওহ আকাশের
কাঁধের উপর হাত গিয়ে ধরে রাখে। ৫ মিনিট হাঁটার
পর ইরাকে নামিয়ে দেয়।
আকাশঃ ওহ মা গো। কি ওজন!
ইরাঃ কি বললেন, আমি মোটা।
আকাশঃ আমি কখন বলছি মোটা।
ইরাঃ এই যে একটু আগেই তো বললেন।
আকাশঃ আরেহ আমি বলতে চেয়েছি, অনেকক্ষণ
ধরে কোলে থাকার কারণে ওজন মনে হয়েছিলো।
ইরাঃ ওহ তাই বলুন আমি তো মনে করেছি আমাকে
বলছিলেন।
আকাশঃ এই সব ব্যাপারে একটু বেশি বুঝো কেনো?
ইরাঃ ইচ্ছে করে সেজন্য। এখন এখানে কেনো
এনেছেন তাই বলেন। আমি কি চেঁখের বাঁধন খুলবো।
আকাশঃ হ্যাঁ, খুলে দিচ্ছি।
আকাশ চোঁখের বাঁধন খুলে দিলে, ইরা সামনে
তাকিয়ে দেখে...................
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৮ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৭ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ৩ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৪ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৫ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৯ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০২ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০১ I All In One Downloads
লেখকঃ Farvez Hosen Akash
Post a Comment