আকাশ চোঁখের বাঁধন খুলে দিলে, ইরা সামনে
তাকিয়ে দেখে..................
ইরা সামনে তাকিয়ে দেখে একটা কেক আর কিছু
মোমবাতি সামনে ছিলো৷ ইরা তো বুঝতে পাচ্ছে না
কি হচ্ছে এখানে।
ইরাঃ স্যার, আজকে কি আপনার জন্মদিন।
আকাশঃ নাহ!
ইরাঃ তাহলে কার স্যার।
আকাশঃ কেক এর দিকে ভালো করে তাকিয়ে
দেখো।
ইরাঃ স্যার, অন্ধকার তো সেজন্য ঠিক বুঝতে পাচ্ছি
না।
আকাশঃ আচ্ছা এভার দেখো।
আকাশ মোমবাতি গুলো জ্বালিয়ে দেয়৷ ইরা কেকের
মধ্যে নিজের নামটা দেখে তো অনেক অবাক।
ইরাঃ একি স্যার, জন্মদিনের কেকে আমার নামটা
কেনো।
আকাশঃ কারণ আজকে তোমার জন্মদিন।
ইরাঃ কিহ, সত্যি স্যার। আমার জন্মদিন আর আমি
জানি না। তা কি করে হয়৷
আকাশঃ তোমার মতো পিচ্চি মেয়ের মনে না
থাকারই কথা।
ইরাঃ আমি মোটেও পিচ্ছি না, বুৃজতে পারলেন
স্যার।
আকাশঃ বুঝতে পারলাম। এখন কেক কেঁটে আমাকে
উদ্ধার করেন।
ইরাঃ কিহ এতো ইনসাল্ট ।
আকাশঃ কেনো কম হয়ে গেলো নাকি?
ইরাঃ না ঠিক আছে।
এরপর ওরা দুজনে কেক কাঁটে। একজন আরেকজনকে
খাইয়ে দিতে থাকে৷ এভাবে প্রায় রাত ২ টা বাজে৷
আকাশের কোলে ইরা বসে আছে। ইরার থেকে ওহ
অনেক ভালো লাগছে এই ভাবে বসে থাকতে দেখে।
আকাশঃ এভার বাড়িতে যেতে হবে।
ইরাঃ আসলে অনেক রাত হলো। আচ্ছা আমার গ্রীপ্ট
কোথায়?
আকাশঃ আমার দেওয়া শাড়ি পরে এলে আর কি
গ্রিপ্ট দিবো৷
ইরাঃ এটা তো মাএ ২০ হাজার টাকা নিলো।
আকাশঃ কেহ বলছে, এটা ২০ হাজার টাকা।
ইরাঃ তাহলে কত নিলো স্যার।
আকাশঃ পুরে ৯০ হাজার টাকা নিয়েছে এই
শাড়িটা৷ তবে আরো একটা কিছু দেওয়ার আছে।
ইরা ঃ কি সেটা।
আকাশঃ ওটা তোমার জন্য সারফ্রাইজ রইলো। এখন
বাসায় গিয়ে নামিয়ে দিতে হবে তোমাকে।
ইরাঃ আচ্ছা চলেন৷ কিন্তু একটা কথা মাথায় ডুকছে
না।।
আকাশঃ কি কথা?
ইরাঃ আমি বাসা থেকে বের হয়েছি ৪ ঘন্টা হলো৷
দিনের বেলায় হলে তো অনেকবার কল দিতো কিন্তু
আজকে এতটা সময় পার হয়ে গেলো অথচ কেউ কোন
কল ওহ দিলো না।
আকাশঃ আসলে ওহ ভালো কথা মনে করিয়ে
দিয়েছো।
ইরাঃ সে যাই হোক আপনি আমাকে বাড়িতে
নামিয়ে দিলেই তো হয়৷৷
আকাশঃ ওকে চলুন তাহলে।
ইরাকে গাড়িতে নিয়ে, গাড়ি চালাতে থাকে।
গাড়ি চালিয়ে আকাশ ইরাকে ওর বাসায় নামিয়ে
নেয়৷ অন্য দিকে পরের দিন ইরার জন্মদিন বিধায়
ইরাকে ছুটি দেওয়া হয়৷ ওই জন্মদিনে ইরা ওর
বান্ধবীদের নিয়ে আনন্দ করতে থাকে৷ অন্য দিকে
আকাশ অফিসে কাজ করতে থাকে। কাজ শেষ করে
আকাশ বাড়িতে চলে আসে। যেতে যেতে ৭ দিন
কেঁটে যায়। ৭ দিন পর ইরা যখন বাড়ি থেকে বের
হবে, তখন ইরার ভাইয়া ওহ ভাবি দুজনেই ইরাকে ডাক
দেয়৷
ভাইয়াঃ ইরা কোথায় যাচ্ছিস?
ইরাঃ কোথায় আর যাবো ভাইয়া অফিসে।
ভাইয়াঃ তুই চাকরিটা ছেড়ে দে।
ইরাঃ কেনো?
ভাইয়াঃ কারণ আমরা তো বিয়ে ঠিক করেছি, তাই ২
দিন পর তোর বিয়ে। এই কাগজটা নিয়ে গিয়ে তোর
বসকে দিবি। তার সাথে চাকরিটা চেড়ে দে। তবে
একটা কথা...
ইরাঃ কি কথা ভাইয়া।
আকাশঃ তোর যদি পছন্দ থেকে থাকে। তাহলে
আমাদের জানাতে পারিছ।
ইরাঃ নাহ ভাইয়া আমার একজন পছন্দ আছে কিন্তু
সে আমাকে ভালোবাসে কি না তা আমি জানি না।
ভাবিঃ আচ্ছা তুই ওকে বলে দেখ। যদি ছেলেটা
রাজি থাকে, তাহলে আমি তোর বিয়ে ওর সাথে
দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ইরাঃ সত্যি, ভাইয়া।
ভাবিঃ হুম, সত্যি বলছি৷
ইরাঃ আমি তাহলে আজকেই বলে দেখবো ওনাকে
দেখি কি বলে।
ভাবিঃ ঠিক আছে।
ইরা অনেক আনন্দের সাথে অফিসে গেলো ওখানে
গিয়ে দেখে ইরা, আকাশ অদ্রিকে কিস করতেছে।
এটা দেখে ইরা চোঁখের পানি ফেলে বেরিয়ে
আসে৷ একটা কথাও বলে নি৷ রুমে ডুকার আগে ইরা
বেল চাপ দেয়। ইরাকে ক্যামেরার মধ্যে দেখে
আকাশ দরজা খুলে দিলে ইরা আকাশের হাতে একটা
খাম ধরিয়ে দেয়।
আকাশঃ কি এটা?
ইরাঃ আমার বিয়ে তাই আমি আর চাকরিটা করছি
না।
আকাশঃ আচ্ছা তাহলে এই নিন আপনার সেলারী।
ইরা সেলারী নিয়ে চলে আসে৷ অন্য দিকে আপনারা
কিন্তু সত্যি সত্যি ভেবে নিয়েন না আবার আকাশ
অদ্রিকে কিস করেছিলো। আসলে তখন ঘঠেছিলো,
অদ্রির চোঁখে কি যেনো পড়ছিলো, তাই আকাশ ওটা
বাহিরে করার চেষ্টা করছিলো, তখন ইরা এসে
দেখে পেলে৷ যার জন্য ইরা আকাশকে ভুল বুঝে চলে
যায়৷ এই দিকে ২ দিন পর ইরা বৌ সেঁজে বসে আছে।
আকাশ বর সেঁজে চলে আসে ইরাকে বিয়ে করতে।
ইরা একবারের জন্য ওহ বরের নাম এবং ছবি ওহ
দেখতে চায় নি। কারণ আকাশের ওই দৃশ্যটা দেখে
ইরার অনেক রাগ হয় যার জন্য এই অবস্থা৷ কাজি
বিয়ে পড়াতে থাকে৷ ইরা প্রথমে কবুল বলতে চায়
নি৷ পরে....
ভাবিঃ ইরা চুপ করে না থেকে কবুল বলে দে।
ভাইয়াঃ দেখ বোন এভাবে চুপ করে থাকিছ না৷
আমরা তো তোকে বলেছি...
ইরা ওর ভাইয়া ভাবির কথায় কবুল বলে দেয় এতে
করে দুজনেরই বিয়ে হয়ে যায়৷ আকাশ ইরাকে নিয়ে
চলে আসে বাড়িতে। বাড়িতে ইরাকে আকাশের
রুমে বসিয়ে রাখা হয়৷ রাত ১ টা বাজে আকাশ যখন
রুমে আসে। কিন্তু ইরা এখন ওহ খাটেই শুয়ে আছে।
আকাশঃ কি ব্যাপার ওহ তো উঠে আমাকে সালাম
দেওয়ার কথা। তা না করে বসে আছে কেনো? ( মনে
মনে)
ইরাঃ দেখুন, আপনি আমাকে কিছু বলা বা করার
আগে, কিছু বলতে চাই।
আকাশঃ কি কথা?
ইরাঃ আমি একজনকে ভালোবাসি?
আকাশঃ কিহ!!!
ইরাঃ হ্যাঁ, বাসি কিন্তু এখন আর বাসি না৷
আকাশঃ কেনো?
ইরাঃ কারণ আমি যাকে ভালো বাসতাম সে
আমাকে না অন্য কাউকে ভালোবাসতো।
আকাশঃ অনেক দুঃখনিও কথা৷
যদি আকাশ এই সব কথা বলতেছে কিন্তু ভিতরে
ভিতরে আকাশের অন্তর ফুঁড়ে যাচ্ছে।
ইরাঃ তাই আমি যতদিন না পর্যন্ত স্বাভাবিক হবো,
ততদিন আপনি আমার উপর স্বামীর অধিকার
দেখাবেন না৷
আকাশঃ ঠিক আছে৷ আমি তাহলে বারান্দায় গিয়ে
শুয়ে থাকি৷
ইরাঃ যাওয়ার সময়ে বালিশ নিয়ে যান।
আকাশঃ ঠিক আছে৷
আকাশ তো বারান্দায় ঘুমানোর জন্য চলে যায়৷
পরের দিন সকালে আকাশ ঘুম থেকে উঠে দেখে ইরা
নেই। তাই আকাশ অফিসে চলে আসে। অফিসে
আসতেই দেখে ইরা বসে আছে।
আকাশঃ কি ব্যাপার আপনি তো চাকরি চেড়ে
দিয়েছেন তাহলে আবার কেনো এলেন।
ইরাঃ কেনো আবার সময় কাঁটানোর জন্য।
আকাশঃ মানে ঠিক বুঝলাম না।
ইরাঃ আপনাকে জানতে হবে না।।
আকাশ কোন কথা না বলে কাজ করতে থাকে।
বিকাল
বিকালে ইরা ওর শশুড় বাড়িতে চলে আসে। অন্য
দিকে আকাশ অফিস শেষে যখন বাসায় আসে তখন
দেখে ইরা ওর রুমে। ইরা তো আকাশকে দেখে অনেক
আচার্য হয়ে যায়৷ দৌঁড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরতে যাবে,
কিন্তু ওই দিনের ঘঠনার কথা মনে পড়তেই চুপ করে
বসে আছে।
ইরাঃ আমি কখনো ভাবতে ওহ পারি নি আপনার
সাথে আমার বিয়ে হবে।
আকাশঃ কেনো, না ভাবার কি আছে। তাছাড়া তুমি
যে অন্য কাউকে ভালো বাসতে তা তো কখনো
আমাকে বলো নি।
ইরাঃ আমি যাকে ভালো বেসেছিলাম, সে আমাকে
কখনো বাসে নি তাই আর বলা হয় নি।
আকাশঃ তা সে কোন অভাগা ব্যক্তি যে তোমান
মতো মেয়ের ভালোবাসা বুঝতে পারে নি।
ইরাঃ আছে কেউ৷ তা একটা কথা জাননতে পারি ক
আকাশঃ কি কথা?
ইরাঃ আমাকে কেনো বিয়ে করেছেন?
আকাশঃ এটা আবার কেমন প্রশ্ন?
ইরাঃ প্রশ্নটা যেমনই হোক উওরটা দিন।
আকাশঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি তাই বিয়ে
করেছি।
ইরাঃ তা আমাকে ভালোবাসেন, কিন্তু কখনো
আমাকে জানালেন না কেনো?
আকাশঃ তোমাকে জানাই নি তবে তোমার ভাইয়া
ভাবিকে জানিয়েছি৷
ইরাঃ ওহ ভালো তো৷ তা যাকে ভালোবাসেন তাকে
একবার ওহ জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না।
আকাশঃ আমি তোমাকে সারফ্রাইজ দিতে
চেয়েছিলাম।
ইরাঃ আচ্ছা ভালো কথা।
আকাশঃ তো তুমি যে কাউকে ভালোবাসো সে কথা
ওহ তো আমাকে জানালে না।
ইরাঃ আমি তো ভেবেছিলাম তাকে আমার মনের
কথাটা জানাবো কিন্তু যখন যানতে পারি, সে অন্য
কাউকে ভালোবাসে তখন আর আমি তাকে কিছু
জানাই নি।
আকাশঃ তাহ সে ছেলেটা কেহ?
ইরাঃ থাক না সে সব কথা জেনে কি করবেন।
আকাশঃ আমার বউ কাউকে ভালোবাসতো অথছ
তাকে পায় নি। এমনটা তো হতে দিতে পারি না।
ইরাঃ ওহ তাই নাকি। তাহলে শুনে রাখুন, আমি
তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম ।
আকাশঃ কিহ বলছো কি?
ইরাঃ হ্যাঁ, আমি ঠিক বলছি। আমি তোমাকে
ভালোবেসে ছিলাম। কিন্তু তুমি কি করলে তুমি অন্য
কাউকে ভালো বেসে নিলে।
আকাশঃ আমি তোমাকে ছাড়া আর কাউকে ভালো
বাসি নি।
ইরাঃ তাই নাকি তাহলে কি ওই দিন আমার চোঁখের
দেখা কি ভূল চিলো।
আকাশঃ কোন দিন?
ইরাঃ যে দিন ..................
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৮ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৭ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ৩ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৪ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৫ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৯ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০২ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০১ I All In One Downloads
লেখকঃ farvez_hosen_akash
Post a Comment