রাত ২ টার পর............
রাত দুইটার পর ইরা ওহ আকাশ দুজনেই ফ্রেশ হয়ে
আসে৷ ওরা দুজনেই রুম৷ বসে আছে। ইরা আয়নার
সামনে চুল আঁচড়াচ্ছে। আকাশ বিছানায় বসে বসে
ইরার দিকে তাকিয়ে আছে।
ইরাঃ কি দেখছো এমন করে?
আকাশঃ কি আর দেখবো তোমাকে দেখছি।
ইরাঃ আমাকে দেখার কি আছে।
আকাশঃ এখন ওহ অনেক কিছু বাকি আছে৷
ইরাঃ দেখো আবার শুরু করলে কিন্তু ভালো হবে না
বলে দিলাম।
আকাশঃ ওহ তাকি কি করবে।
ইরাঃ বেশি কিছু করবো না, মারবো আবার।
আকাশঃ তাহলে তো ভালোই হবে৷
ইরাঃ কি করে?
আকাশঃ একটু আগেই তো মারামারি থেকে শুরু হলো
অন্য রকম মারামারি। তাই এখন আবার যদি ওই রকম
কিছু হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই আর।
ইরাঃ তুমি থাকো তাহলে সে আসাতে। আমি তো.....
আকাশঃ তুমি কি?
ইরাঃ কি আর করবো, একটু ঘুমাবো।
আকাশঃ এই রোমাঞ্চ করার মুহুর্তে তোমার ঘুম
পাচ্ছে।
ইরাঃ এখন কোন দুষ্টুমি হবে না।
আকাশঃ তবে তুমি তো জানো তোমাকে জড়িয়ে
ধরতে না পারলে, আমি যে ঘুমাতেও পারবো না।
ইরাঃ আমি কি একবার ওহ বলেছি যে, তুমি আমাকে
জড়িয়ে ধরতে পারবে না।
আকাশঃ তাহলে একটু আগে যে বললে?
ইরাঃ আমি বলতে চেয়েছি, একটু আগে যা হয়েছে
তা যেনো, এখন আবার না হয়৷
আকাশঃ চিন্তা করো না তুমি এমন কিছুই হবে না।
ইরাঃ হুম চলো এভার ঘুমাই।
ইরা এসে আকাশের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে।
পরের দিন সকালে ইরা রান্না ঘরে আসতে যাবে,
তখন দেখে ইরার ভাইয়া, ওহ ভাবি দুজনের ড্রয়িং
রুমে এস৷ বসে আছে৷ আর ওনাদের সাথে আকাশের
বাবা কথা বলতেছে৷ ইরা ওখানে গিয়ে ওনাদের
সাথে বসে।
ইরাঃ ভাইয়া ভাবি তোমরা কখন এলে?
ভাবিঃ এই তো ১০ মিনিট হলো।
ইরাঃ তো আমাকে আগে বললে তো বাজা৷ করিয়ে
আনতাম।
আকাশের আব্বুঃ বৌ মা। তুমি হয় তো আমাদের
বাসার ফ্রিজটা এখনো খুলে দেখো নি, তুমি ফ্রিজ
চেক করো তাহলেই বুঝতে পারবে।
ভাইয়াঃ কি আছে ফ্রিজে?
আকাশের আব্বুঃ খাসির মাংশ, গরুর মাংশ,হাঁসের
মাংশ, মুরগির মাংশ। আর মাছের মধ্যে ইশিশ, রুপ
চাদা মাছ। এই গুলো তো সব সময় থাকে৷ তাছাড়া
তুমি তো কখনো রান্না ঘরে আসো না তাই জানো
না।
ভাবিঃ কিন্তু আজকে যে তাহলে আসলো?
আকাশের আব্বুঃ আসলে তো, বৌ মা তুমি রান্না
ঘরে কেনো আসলে।
ইরাঃ আব্বু আসলে আমি চাচ্ছি আপনাদের নিজের
হাতে রেঁধে খাওয়াতে। তাছাড়া আমাকে সাহায্য
করার জন্য তো ওরা আগেই৷ আমার যা যা লাগবে
ওরা তো এগিয়ে দিবেই আমি শুধু রান্নাটাই করবো।
ভাইয়াঃ তাহলে তো কোন সমস্যা নেই৷ তাছাড়া
বিয়ের পর শশুড় বাড়িতে বর, শাশুড়ি, শশুড় সবাইকে
রান্না করে খাওয়াতে তো হয়।
আকাশের আব্বুঃ তাহলে বৌ মা। তোমার ভাইয়া
আর ভাবি যেহেতু এসেছে তাই ফ্রিজের ভিতর
থেকে ওদের বলো, সব বাহির করে ভিজিয়ে রাখতে।
আজকে তোমার হাতের রান্নাই আমরা সবাই মিলে
খাবো।
ইরাঃ তাহলে আজকে অফিসে কেহ যাবে?
ভাবি ঃ কিসের অফিস, আকাশ কি তোকে এখন ওহ
অফিসের কাজে নিয়ে যায় নাকি।
ইরাঃ নাহ ভাবি তেমন কিছু না৷
ভাবি ঃ তাহলে কি, দেখ আমাদের কাছে কিছু
লুকাইছ না।
ইরাঃ আসলে অফিসে তো ওকে ( পি এ) রাখতে হয়।
এখন বলাতো যায় তো,যায় না নতুন ( পি এ) সাথে
যদি কোন ছক্কর চালিয়ে বসে। তাহলে আমার কি
হবে ভেবে দেখেছো।
ভাবিঃ কথাটা তো মন্দ বলিছ নি৷ তাহলে আজকে
থেকে আমি তোর ভাইয়ার উপরে কড়া নজর রাখবো।
ওর রুমে সি,সি ক্যামেরা লাগাবো৷ ও কি করে না
করে সব দেখবো৷
ভাইয়াঃ এ কেমন কথা। তুমি কি ইরার কথা শুনে
আমাকে সন্দেহ করো নাকি।
ভাবি ঃ না করলেও এখন থেকে করবো৷
বাসায় যাই আমি তারপর দেখাবো মজা৷
ভাইয়াঃ বোন তুই তো আমাকে ওহ এভার ফাঁসিয়ে
দিলি।
ইরাঃভাইয়া কি জানতাম ভাবি এমন কিছু বলবে।
আকাশের আব্বুঃ বৌ মা আজকে কেউ অফিসে
যাবে না। আমি ম্যানেজারকে বলে দিবো অফিস
সামলানোর জন্য। তুমি তাহলে রান্না করো৷ আকাশ
উঠলে ওহ এসে তোমার ভাইয়া ভাবির সাথে কথা
বলবে৷ তার আগে ওনাদের রুমে নিয়ে যাও।
ইরাঃ ঠিক আছে আব্বু।
ইরা ওর ভাবিদের রুমে নিয়ে আসে। ওনারা গল্প
করতে থাকে৷ ইরা কিচিং রুমে চলে আসে। ইরা ওর
মতো করে রান্না করতে থাকে৷ কিছুক্ষণ পর
আকাশের ঘুম ভাঙ্গে৷ আকাশ ফ্রেশ হয়ে নিচে
নামে।
নিচে গিয়ে কিচিং রুমে যায়। ওখানে ইরাকে পিছন
থেকে থেকে জড়িয়ে ধরে। ইরাকে জগিয়ে ধরাতে
ইরার খুবই ভালো লাগছিলো। তাই আকাশ ইরা
ঘাড়ের মধ্যে কিস করছিলো। এতে ইরা কেঁপে উঠে।
ইরাঃ এখন এই সব করতে হবে না। ভাইয়া ওহ ভাবি
এসেছে তুমি গিয়ে ওনাদের সাথে কথা বলো৷
আকাশঃ তো ওনারা এসেছে, তুমি এই কথা আমাকে
আগে তো বলতে পারতে।
ইরাঃ তুমি ঘুমাচ্ছো তাই আমি ডিস্টার্ব করি নি।
আকাশঃ তোমাকে কিছু বলার নেই। আচ্ছা ওনাদের
নাস্তা তো দিয়েছো নাকি?
ইরাঃ দিয়েছি, আব্বু, আর ভাইয়া ভাবিকে এক
সাথে নাস্তা দিয়েছি। আব্বু বলে দিয়েছে আজকে
তোমাকে অফিসে যেতে হবে না। আব্বু ওহ অফিসে
যাবে না। তাই তুমি নাস্তা করে ভাইয়া ওহ ভাবির
কাছে গিয়ে গল্প করো।
আকাশঃ ঠিক আছে। তবে একটা কিস তো দিবে।
ইরাঃ কি বলছো ওরা তো দেখে যাবে৷
আকাশঃ আরেহ ওরা তো কেউ তাকিয়ে রইছে না।
ইরাঃ আচ্ছা দিচ্ছি
আকাশকে একটা কিস দেয়। কিস পেয়ে আকাশ ওখান
থেকে চলে আসতে চাইলে।
ইরাঃ কি হলো, নাস্তা তো করে যাও।
আকাশঃ একটু আগেই তো তুমি নাস্তা দিলে।
ইরাঃ মানে?
আকাশঃ মানে হলো এই টা। ( ইশারায় ঠোঁট
দেখিয়ে)
ইরাঃ উপ, তুমি পারো ওহ বটে এখন যাও তো।
আকাশঃ আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছো।
ইরাঃ যাবে কি না তুমি। নয় তো এইটা দিয়ে
তোমার হাতে.....
আকাশঃ আরেহ যাচ্ছি তো।
ওখান থেকে আকাশ ইরার ভাবি ওহ ভাইয়ার কাছে
আসে। ওখানে আকাশ ওনাদের সাথে কথা বলতে
থাকে৷ কথা বলতে বলতে প্রায় দুপুর হয়ে যায়৷ দুপুরে
খাবারের সময় হয়ে যায়৷ ইরা ওদের খাবার খাওয়ার
জন্য আসতে বলে৷ ওনারা নিচে এসে ফ্রেশ হয়ে
নেয়। ফ্রেশ হয়ে খাবার খেতে বসে। ইরা নিজের
হাতে সবাইকে খাবার বেড়ে দেয়। সবাই খেতে বসে
যায়।
ভাবিঃ ইরা তুমি ওহ বসো।
ইরাঃ ভাবি তোমরা বসে খাও আমি পরে খেয়ে
নিবো।
ভাবিঃ পরে একা একা কি করে খাবি।
আকাশঃ ইরা তোমার ভাবি তো ঠিকই বলছে
আমাদের সাথে বসে যাও খেতে। তাছাড়া ওরা তো
আছে খাবার দেওয়ার জন্য।
ইরাঃ ঠিক আছে আমি তাহলে বসে গেলাম।
ওনা খাবার খেয়ে নিজেদের রুমে গিয়ে রেস্ট নেয়৷
বিকাল বেলায় ইরা ভাবি ওহ ভাবি চলে যাওয়ার
জন্য তাড়া দিচ্ছে তখন আকাশ ওনাদের আরো
কয়েকদিন থাকার জন্য বলে।।
ভাইয়াঃ আসলে বিজনেস তো সামলাতে হবে।
তাছাড়া আকাশ তুমি তো জানো বিজনেস দেখা
শুনান জন্য কেউ নেই।
আকাশঃ তাহলে ভাবিকে তো রেখে যান। এতে
করে ইরা ওনার সাথে সময় কাঁটাতে পারবে।
ভাইয়াঃ আচ্ছা তাহলে ইরা তোর ভাবি থাকবে।
ইরাঃ ঠিক আছে ভাইয়া তাহলে তো অনেক ভালোই
হয়৷
ইরার ভাইয়া কথা বার্তা বলে চলে যায়৷ অন্য দিকে
ইরা ওর ভাবির সাথে গল্প করতে থাকে। রাতের
বেলায় আকাশ ইরার কাছে আসে।
আকাশঃ ইরা....
ইরাঃ তুমি এসেছো ভাবি আমি তাহলে যাচ্ছি তুমি
ঘুমাও।
ভাবিঃ আচ্ছা তুই তাহলে যা।
আকাশঃ না ভাবি৷ ইরা তোমার সাথে ঘুমাবে৷
তোমরা গল্প করতে থাকো।
ভাবিঃ কিন্তু তুমি একা....
ইরাঃ ভাবি তো ঠিকই বলছে তুমি একা কি করে
ঘুমাবে?
আকাশঃ কিছু হবে না। তোমার ভাবি যতদিন থাকবে,
তুমি ততদিন ওনাকে সময় দিবে, অফিসে ওহ যেতে
হবে না।
ইরাঃ অফিসে না হয় গেলাম না। কিন্তু তোমার
বুকে.........
ভাবিঃ বুকে কি?
আকাশঃ ওহ কিছু না ভাবি৷ ইরা তুমি তাহলে এখানে
থাকো৷ আমি গেলাম....
ইরাঃ আচ্ছা যাও।
আকাশ ওর রুমে গিয়ে শুয়ে থাকে৷ রাতের বেলায়
একা একা ঘুম আসছিলো না তাই আকাশ ইরাকে
ভেবেছিলো কল দিবে কিন্তু ইরার ভাবি সাথে
থাকার কারণ কল না দিয়ে বসে বসে মুভি দেখে।
সকাল বেলা আকাশ অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়৷
নিচে নেমে দেখে সবাই নাস্তা করতেছে। আকাশ
ওহ নাস্তা করে বেরিয়ে যেতে চাইবে তখন ইরা
বলে।
ইরাঃ এই অফিসে যাচ্ছো ভালো কথা যদি কোন
মেয়ের দিকে তাকিয়েছো না। তাহলে কিন্তু অনেক
খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম।
আকাশঃ কি বলছো তুমি থাকতে অন্য মেয়ের.....
ইরাঃ এখন কথা না বলে যাও। আমি দুপুরে খাবার
নিয়ে আসবো।
আকাশঃ কয়টায় আসবে।
ইরাঃ যখন ইচ্ছে হবে তখন আসবো। এখন যাও তো
কোন কথা বলো না।
আকাশঃ ঠিক আছে।
আকাশ অফিসে চলে যায়৷ অন্য দিকে ইরা ওহ ওর
ভাবি রান্না শেষ করে। ইরা দুপুর বেলায় রেডি হয়ে
নেয় অফিসে যাবে বলে। তাই টিফিন বক্স নিয়ে
অফিসে ডুকে। অফিসের কেউ তো কিছু বুঝতেছে না
কি হচ্ছে কি৷ ইরা খাবার নিয়ে আকাশের কেবিনে
ডুকে দেখে..............…...
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৯ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৭ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ৩ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৪ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৫ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৬ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০২ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০১ I All In One Downloads
লেখকঃ farvez_hosen_akash
Post a Comment