ইরা খাবার নিয়ে আকাশের কেবিনে ডুকে
দেখে..............…...
কেবিনে ডুকে দেখে আকাশ কেবিনে নেই। তাই ইরা
ভিতরে থাকা রুমটার দিকে যায়৷ ওখানে ভিতরে
ডুকতেই আকাশ ইরাকে টান দিয়ে ভিতরে ডুকিয়ে
নেয়৷ টান খেয়ে ইরা গিয়ে আকাশের বুকের উপর
গিয়ে পড়ে।
ইরাঃ উপ, তুমি। আমি তো ভয়ই পেয়েছিলাম।
আকাশঃ কি নিয়ে এতো ভয় পেলে?
ইরাঃ আমি তো ভেবেছিলাম কে না কে।
আকাশঃ আমার কেবিনে আমি ছাড়া অন্য কে আর
আসবে।
ইরাঃ আসতে ওহ তো পারে।
আকাশঃ ওহ তাই নাকি৷
ইরাঃ হুম। এখন এটা বলো তো আমি তোমাকে এখানে
রুম কেনো বানাতে বলেছি।
আকাশঃ কেনো বলেছো?
ইরাঃ যাতে করে আমরা কাজের পর, এখানে
কিছুক্ষণ সময় কাঁটাতে পারি আর আমি এখানে
থাকতে পারি সেজন্য।
আকাশঃ ওহ মেডাম তাই বুঝি আগে তো বলবে।
ইরাঃ তুমি তো বলার আগেই অনেক কিছু করে
নিয়েছো?
আকাশঃ যেমন কি কি করছি।
ইরাঃ এই তো তুমি আমাকে তোমার বুকে নিয়ে শুয়ে
আছো।
আকাশঃ উপ, তুমি যে আমার বুকের উপরে বুঝতেই
পারি নি।
ইরাঃ হয়েছে এভার আমাকে উঠাও এখন থেকে।
ওরা উঠে নেয়। ইরা আকাশকে খাবার বেড়ে দেয়৷ এর
মধ্যে আকাশ ফ্রেশ হয়ে চলে আসে। আকাশ এসে
খাবার শুরু করার আগে৷
আকাশঃ তুমি খেয়েছো?
ইরাঃ না, ভাবলাম দুজনে একসাথে খাবো তাই আর
খাই নি৷
আকাশঃ তাহলে চলো দুজনে একসাথে খাওয়া শুরু
করি।
ইরাঃ হুম চলে।
এরপর ওরা ১ জন আরেক জনকে খাইয়ে দিতে থাকে।
এভাবে খাওয়ানোর মাঝে ওদের দুষ্টোমি চলতে
থাকে৷ খাবার শেষে ইরা ওহ আকাশ ওখানে শুয়ে
থাকে একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে৷ কিছুক্ষণ
পর পর ইরার পেট থেকে কাপড় সরে যাচ্ছে, আকাশ
শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
ইরাঃ কি দেখছো?
আকাশঃ তেমন কিছু না তোমার.....,
ইরাঃ খালি রোমাঞ্চ করা ধান্ধা তোমার।
আকাশঃ কি করবো, সামনে তুমি থাকলে আর কিছু
তো দেখাই হচ্ছে না।
ইরাঃ হয়েছে আর বলতে হবে না। এখন তাহলে কি
করবে।
আকাশঃ কি আর করবো এভাবে তাকিয়েই থাকবো।
আকাশের তাকিয়ে থাকা দেখে ইরা গিয়ে
আকাশকে জড়িয়ে ধরে আর কিস করতে থাকে৷
এভাবে অনেকক্ষণ ধরে কিস করার ফলে ওদের
দুজনের মধ্যে অন্য রকম ফিলিং কাজ করেছিলো৷
এরপর ওদের মাঝে যা হলো তা আর আপনাদের নাই
বললাম। বিকাল হয়ে গিয়েছে..
ইরাঃ তোমার কি হইছে আমাকে এভার যেতে হবে।
ভাবি একা একা।
আকাশঃ কি করবো রাতে তোমাকে কাছে পাই না।
তাই তো....
ইরাঃ আমি তো তোমাকে বলেছি, আমি তোমার
সাথে ঘুমাই কিন্তু তুমি কি করলে।
আকাশঃ তবুও তোমার ভাবির সাথে ঘুমাই ওহ। এখন
তাহলে কাপড় ঠিক করে বোরকা পড়ে বেরিয়ে
পড়ো৷ আমি আসার সময়ে বক্স নিয়ে আসবো।
ইরাঃ ঠিক আছে যাচ্ছি তবে কোন মেয়ের দিকে
কিন্তু ভুলেও তাকাবে না বলে রাখলাম।
আকাশঃ এত কিছু হওয়ার পর ওহ তোমার।
ইরাঃ হয়েছে আর বলতে হবে না। বিয়ের আগে যা
করলে তুমি আমার সাথে।
আকাশঃ কি দরকার পুরনো কথা মনে করে।
ইরাঃ কি বলো মনে করবো না। তোমার কোন
বিশ্বাস নেই৷
আকাশঃ এত অবিশ্বাস করলে কাছে আসলে কেনো।
ইরাঃ যাতে করে অন্য মেয়েকে কাছে আর পেতে
না চাও৷ তাই এখন কাজ করে, সন্ধার আগে বাসায়
আসবে। ভাইয়া ভাবিকে নিয়ে আসবে৷
আকাশঃ তোমার ভাইয়ার ওহ তর সইছে না, তোমার
ভাবিকে ছাড়া থাকতে।
ইরাঃ তবুও তোমার মতো এত আনরোমান্টিক না
বুঝলে।
আকাশঃ আমার মতো এত রোমান্টিক জামাই
কোথাও কি পাবে আর।
ইরাঃ তাহলে কি কাল থেকে খোঁজা শুরু করে
দিবো৷
আকাশঃ একদম না৷ লেট হয়ে যাচ্ছে তোমার।
ইরাঃ কি ব্যাপার আমাকে তাড়িয়ে দিতে চাইছো
কেনো?. কারো আসার কথা আছে নাকি।
আকাশঃ উপ, তুমি ওহ না। যাও তো এখন।
ইরাঃ না গেলে কি করবে?
আকাশঃ একটু আগে যা যা করছিলাম। এখন ওহ ঠিক
তাই তাই করবো৷
ইরাঃ কিহ, না আমি যাচ্ছি তাহলে।
ইরা চলে যায়৷ অন্য দিকে আকাশ ওর কাজ করতে
থাকে৷ কাজ শেষ করে সন্ধায় আকাশ বাড়িতে
আসে। বাড়িতে আসার পর দেখে ইরার ভাইয়া
এসেছে। ওনার সাথে আকাশ কথা বলতে থাকে৷
ওনার সাথে কথা বলে আকাশ উপরে চলে আসে৷
এরপর ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে আসে৷ কিছুক্ষণ পর
ইরার ভাইয়া ভাবিকে খাবার দেয়৷ ওনারা খাবার
খেয়ে বেরিয়ে পড়ে। ওনারা যাওয়ার পর ঘুমানোর
সময়ে ইরা এসে আকাশের পাশে এসে শুয়ে থাকে৷
এরপর শুরু হলো ওদের রোমান্স। ২ দিন দিন আকাশ
ইরাকে নিয়ে অফিসে যায়৷ ওখানে অনেকে ইরাকে
চিনে না, কেনো না ইরা বোরকা পড়ে অফিস৷
আসতো আর আকাশের রুমে গিয়ে বোরকা খুলে
ফেলতো। এরপর সাথে ওদের রোমাঞ্চ তো চলতেই
থাকে৷ এই দিকে ৪ মাস কেঁটে যায়৷ ইরা বের হয়ে
আকাশের কাছে আসছিলো তখন রাস্তার মধ্যে রনি
দাঁড়িয়ে থাকে। ইরা তো রকিকে দেখেই ছিনতে
পারে।
ইরাঃ ওই তুই আজকে আবার ওহ আমার পিছনে
লেগেছিস?
রকিঃ কি করবো বল। তোর মতো এত সুন্দরী একটা
মেয়ে আমার হাত ছাড়া হয়ে যাবে, তা কি আমি
করতে দিতে পারি।
ইরাঃ কি বলতে চাস তুই?
রকিঃ তোকে আমি ১ রাতের জন্য হলে ওহ আমার
করে পেতে চাই৷
ইরাঃ সে সপ্ন তোর কখনো পূরণ হবে না।
রকিঃ তাই তো সপ্ন পূরণ করার জন্য এসেছি। আজকে
তোকে নিয়ে ফুলসজ্জা করবো৷ ( হা হা হা)
রকি ওখান থেকে ইরাকে নিয়ে যায়৷ ওখান থেকে
ইরাকে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে।
লোকঃ বস এখন তো অনেক ভালো সময়। এখনই কাজটা
সেরে ফেলেন।
রকিঃ অঞ্জান অবস্থা ওর অহংকার আমি ভাংতে
পারবো না। তাই আগে ওর ঞ্জান ফিরোক তারপর
ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে করবো।
লোকঃ ঠিক আছে বস আমি তাহলে পাহারা দিতে
থাকি।
রকিঃ আরেহ লাগবে না। তাছাড়া এখানে কেউ
আসতে পারবে না।
অন্য দিকে ইরার এতো ধেরি দেখে আকাম
অনেকবার কল দেয়৷ কিন্তু ইরার ফোন বন্ধ৷ সেজন্য
আকাশ ইরাকে ট্রেক করে ওর লোকেশন বের করে৷
এখন হয় তো অনেকে ভাববেন, ফোন বন্ধ কিন্তু
লোকেশন কি করে জানলো তাই তো৷ আসলে ইরার
গলায় ওহ কানে এবং তার সাথে আইটির মধ্যে
ট্রেকার মিশিন লাগানো। যার মাধ্যমে আকাশ ইরার
লোকেশন অনেক সহজেই খুজে বের করে নিতে
পারবে। আকাশ ইরার লোকেশন একটা নদীর ধারে
দেখতে পেয়েছে৷।
আকাশঃ কি ব্যাপার ইরা নদীর ধারে কেনো
গিয়েছে। যদিও ওখানে যাবে, তাহলে তো আমাকে
বলে যেতো। কিন্তু এরকমটা কেনো করে নি ইরা।
আচ্ছা ওর কোন বিপদ হলো না তো। একবার ওখানে
গিয়ে দেখে আসার ভালো।
আকাশ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে৷ ১ ঘন্টার পর
আকাশ ওখানে এসে পৌঁছায়। আশেপাশে আকাশ
কাউকে দেখছে না। অনেক দূরে একটা কুঁড়ে ঘর
দেখতে পায়৷ কুঁজে ঘরটা একটা পাহাড়ের উপরে৷
তাই ওখানে উঠার চেষ্টা করে আকাশ অনেক সময়ের
ওখানে গিয়ে দেখে ইরা একটা খাটের উপর
অঞ্জা৷ হয়ে শুয়ে আছে কিন্তু আশেপাশে কাউকেই
আকাশ দেখতে পাচ্ছে না। তাই ইরাকে কোলে তুলে
নেয়৷ এবং ওই পাহাড় থেকে নামার সময়ে রকি
আকাশকে দেখে পেলে৷ তাই তাড়াতাড়ি করে
ওদের কাছে আসে৷
রকিঃ তোর এত বড় সাহস, তুই আমার স্বিকারকে
নিযে চলে যাচ্ছিস?
আকাশঃ ওহ তাই, আমার বিয়ে করা বউ এখন তোর
স্বিকার হয়ে গিয়েছে?
রকি ঃ হ্যাঁ, আমার স্বিকার। এখন যদি বাঁচতে চাস
তাহলে তুই ওকে রেখে এখানে চলে যা।
আকাশঃ এক হয় ওকে নিয়ে যাবো নয় তো দরকার
হলে তোকে এখানে মেরে ফেলে তারপর যাবো৷
রকিঃ তাহলে দেখি কেহ হারে। তোকে যদি মারতে
পারি, তাহলে ওকে আমি এখানে রেখে সারা জীবন
ধরে ভোগ করতে থাকবো। ( হা হা হা)
রকির কথা গুলো আকাশের মনে অনেক আঘাত লাগে৷
তাই রকিকে একটা লাঠি দেয়। রকি লাথি খেয়ে
কিছুটা দূরে গিয়ে পড়ে৷ ওখান থেকে উঠে, রকি
আবার মারতে শুরু করে দেয়৷ এতে করে আকাম একটু
মার খায়৷ পরে আকাশের লাথি খেয়ে রকি পাহাড়
থেকে নিচে পাথরের মধ্যে পরে যায়৷ ইরার এখন ওহ
ঞ্জান ফিরে নি, তাই ইরাকে তাড়াতাড়ি করে
ওখান থেকে নিয়ে হসপিটালে নিয়ে যায়৷ ডক্টর
একটা ইনজেকশন দেয়৷ ইরাকে ওখান থেকে নিয়ে
চলে আসে বাড়িতে।
এই দিকে ইরা ঘুম থেকে উঠে দেখে রুমে শুয়ে আসে।
ইরা ঘুম থেকে উঠে,
ইরাঃ চেড়ে দাও আমাকে চেড়ে দাও।
আকাশঃ কি হয়েছে, তুমি এভাবে চিৎকার কেনো
দিচ্ছো৷
ইরাঃ আকাশ আমাকে বাঁচাও, ওই ছেলেটা
আমাকে... ( বলেই কান্না করে দেয়)
আকাশঃ আরেহ কিছু হয় নি। তুমি সপ্ন দেখছিলে।
ইরাঃ কিহ বলো আমি সপ্ন কেনো দেখবো।
আকাশঃ তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সপ্ন দেখছিলে। বুঝতে
পারলে তাই একদম টেনশন করার কোন কারণ নেই৷
ইরাঃ সত্যি কি ওটা সপ্ন ছিলো?
আকাশঃ হ্যাঁ৷ সপ্ন ছিলো। পরের দিন সকালে
আকাশ ইরাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়৷ কেনো না ইরার
এই জিনিসটা মাথা থেকে বের করার জন্য বাহিরে
নিয়ে যাওয়াটা দরকার। তাই ইরাকে নিয়ে ঘুরতে
বের হয়৷ এই ঘুরার মধ্যে ইরার সব রকমের চিন্তা দূর
হয়ে যায়৷ পরের দিন। এই দিকে আবার ওহ ২ টা মাস
পার হয়ে যায়। ইরা রান্না করার সময়ে অঞ্জান হয়ে
পড়ে যায়। আকাশ ডক্টর ডেকে আনে, ডক্টর
আকাশকে একটা খুশির সংবাদ দেয়৷ এরপর থেকে
তো আকাশ ইরার অনেক কেয়ার করতে থাকে৷
আকাশঃ আমাদের ঘরে নতুন মেহমান আসতে চলছে।
ইরাঃ সত্যি, আমি মা হবো?
আকাশঃ হুম হবে। এখন থেকে তোমাকে আর অফিসে
যেতে হবে না।
ইরাঃ কেনো যাবো না৷
আকাশঃ এখন তোমার জার্নি করাটা ঠিক হবে না।
ইরাঃ তা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।
যতদিন পর্যন্ত আমি সুস্থ থাকবো, ততদিন পর্যন্ত
তোমাকে কোন মেয়ের কাছে যেতেই দিবো না।
আকাশঃ হায় রে কপাল, কয়েকমাস পর আমি বাবা
হবো আর তুমি আমাকে এখন ওহ সন্দেহ করো।
ইরাঃ হ্যাঁ, করবো ১০০ বার করবো।
ওরেই ওরা দুজন দুজনকে জগিয়ে ধরে। জগিয়ে ধরাতে
ইরা একটু চিৎকার করে উঠে।
ইরাঃ উহহহহহহহ।
আকাশঃ স্বরি স্বরি, আমি বুঝতে পারি নি তুমি
ব্যাথা পাবে।
আকাশের কথা শুনে ইরা হেঁসে দেয়৷ করে আকাশ
বুঝে যায়, ইরা ওর সাথে মজা করছে৷ পরের দিন
আকাশ ইরাকে নিয়ে অফিসে আসে।
আকাশঃ একটা কথা বলো তো?
ইরাঃ কি কথা?
আকাশঃ আমি তোমার কেমন স্বামী।
ইরাঃ তুমি আমার বদ মেজাজি, জেদি আর
রোমান্টিক জামাই।
আকাশঃ ভুলে যেও না এটা অফিস।
ইরাঃ তুমি ওহ ভুলে যেও না আমি তোমার বউ৷ আর
বউ বললে ভুল হবে রোমান্টিক বউ আর তুমি এখানে
আমার অফিসের বস হলে ওহ, তুমি আসলেই
রোমান্টিক লাভার।
গল্পটা কেমন হয়েছে আপনারা কিন্তু অবশ্যই
জানাবেন আমাকে৷ আর যত পারেন কমেন্ট করবেন।
এত দিন পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আর আপনারাও
সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেনন।
সমাপ্ত
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৮ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৭ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ৩ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৪ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৫ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০৬ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০২ I All In One Downloads
অফিসের_বস_যখন_রোমান্টিক_লাভার পর্বঃ ০১ I All In One Downloads
লেখকঃ farvez_hosen_akash
Post a Comment